দৃষ্টি আকর্ষন
সব সময় সর্বশেষ সংবাদ জানতে দৈনিক দেশপ্রেম নিজে পড়ুন এবং অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করুন ........... আপনার এলাকার যে কোন সংবাদ আমাদের ছবিসহ জানান-আমরা সেটি প্রকাশ করবো দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায়, নিউজ পাঠান dailydeshprem@gmail.com এই ইমেইলে ............ আপনার পণ্যের খবর সকলের কাছে দ্রুত পৌছাতে দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন ..........
শিরোনাম :
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ানো হলো আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ও উপদেষ্টা আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগ চাইলেন সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারি হলেন মোহাম্মদ সুফিউর রহমান শান্তিরক্ষী মিশনে আরও নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা একই ব্যক্তি সরকার প্রধান ও দলীয় প্রধান হতে পারবে না- এমন চর্চা আমরা দেখি না : বিএনপি বিএনপি বৈঠক করলো সিপিবি, বাসদসহ বাম নেতাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির রওশনপন্থিরা জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করলো গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই, আর এটি কাউকে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয় : মির্জা ফখরুল বিচার ও সংস্কারের জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন অন্তর্বর্তী সরকার ততটুকু সময় পেতে পারে : এনসিপি ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির বৈঠক
জাতীয় শিল্পনীতির আওতায় এসএমই নীতিমালা খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রীসভা

জাতীয় শিল্পনীতির আওতায় এসএমই নীতিমালা খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রীসভা

ঢাকা, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে জাতীয় শিল্পনীতির আওতায় এসএমই নীতিমালা ২০১৯’র খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এটি নতুন সংযোজন এবং জাতীয় শিল্পনীতির আলোকেই এটি করা হয়েছে। এই সেক্টরে ৭৮ লাখ অতি ক্ষুদ্র (মাইক্রে) এবং ক্ষুদ্র (স্মল) ও মাঝারি (মিডিয়াম) শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং জিডিপিতে এই খাতের অবদান প্রায় ২৫ শতাংশ।

পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ‘এই খাতের আওতায় ৭৮ লাখ শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং জিডিপি’র এক চতুর্থাংশ এই খাত থেকে অর্জিত হয়।’ নতুন নীতিমালায় মূলত ৬টি বিষয়কে সামনে রাখা হয়েছে। এই ৬টি বিষয়ের প্রতিই মূলত ফোকাস করা হবে। যেগুলো হচ্ছে-

১. যারা এর বিনিয়োগকারী হবেন তাদের অর্থ প্রাপ্তির সুযোগটি সামনে রাখা,
২. প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সুযোগ,
৩. বাজারে প্রবেশের সুযোগ,
৪. শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ,
৫. ব্যবসায়ে সহায়তা প্রদান (এক্সেস টু বিজনেস সাপোর্ট সার্ভিসেস),
৬. তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ (এক্সেস টু ইনফরমেশন)

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই ৬টি বিষয় যেন উদ্যোক্তাদের সামনে সুযোগ করে দেওয়া হয় সেই লক্ষ্যকে সামনে রখেই এই নীতিমালাটা প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে আমরা এসএমই বলতে যা বুঝি তার সঙ্গে আরো কয়েকটি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। যেমন- মাইক্রো, কুটির শিল্প। অর্থাৎ মাইক্রো,কুটির ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প এসএসই। সমগ্র পৃথিবীতেই এভাবেই এসএসই কে সংজ্ঞায়িত করা হয়। সচিব বলেন, অনেকগুলো নতুন বিষয় এই নীতিমালার আওতায় আনা হয়েছে । যেমন- বাস্তবায়ন কৌশল এর ৪ এর (২) কৌশলগত এসএমই’র অর্থপ্রাপ্তিতে এর সুযোগ বৃদ্ধি করা। আরো রয়েছে এসএমই খাতে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি করা, অর্থায়নের ব্যবস্থা করা, একটি নতুন প্রস্তাব এখানে রয়েছে, যেমন- এসএসই ক্রেডিট গ্যারান্টি ফান্ড চালু করা। (এটি চালু হলে মর্টগেজের ব্যবস্থা থাকবে না, একটু সহজীকরণ হবে।)

তিনি বলেন, সহজ শর্তে ও অল্প সুদে ঋণ প্রদানের কথা বলা হয়েছে। কৌশলগত লক্ষ্যের মধ্যে আরেকটি বিষয় রয়েছে। যেটি হচ্ছে- নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার ক্ষেত্রে সহায়তা করা (স্টার্টআপ)। অনলাইনে ডিজিটাল প্রত্রিয়া চালুর মাধ্যমে স্টার্টআপ প্রত্রিয়া সহজ করা। তথ্য প্রযুুক্তির ব্যবহার নিয়ে বলা হয়েছে-ই কমার্স, অন লাইন সাপোর্ট, আউট সোর্সিং এবং আইটি ভিত্তিক অ্যাপলিকেশেনের মাধ্যমে এসএসইদেও সহায়তা দেওয়ার একটি ফোকাস থাকবে।

এই নীতিমালায় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৬ ধরনের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তা হচ্ছে- নারী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিন জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। তাদেরকে ঋণ দেওয়া। তাদের জন্য তহবিল গঠন।তাদেও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, তাদের উদ্বুদ্ধকরণ এবং কাজের জন্য বাজার সংযোগের সুযোগ বৃদ্ধি করা। ফরোয়ার্ড এবং ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের ব্যবস্থাও এখানে রাখা হয়েছে। এছাড়া, ইনফো ডাইরেক্টরী তৈরীর বিষয়ে একটি গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে, এসএমই তথ্য ভান্ডার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

তিনি বলেন, পরিবেশ বান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠায় এসএমই দের উৎসাহিত করা, শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এসএমইদের প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা দেওয়া এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহার বিধি সম্পর্কেও এই নীতিমালায় বলা হয়েছে। এই নীতি বাস্তবায়নে দুই ধরনের পর্ষদের প্রস্তাব করা হয়েছে। একটি হচ্ছে শিল্প মন্ত্রী এবং অপরটি সচিবের নেতৃত্বাধীন।

মন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন পর্ষদে শিল্পমন্ত্রী সভাপতি এবং প্রতিমন্ত্রী সহ সভাপতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, যেমন- বাণিজ্য ,অর্থ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পরিকল্পনা, পররাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, বস্ত্র ও পাট, সচিব বাউশি, সচিব কারিগরি, সচিব মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সচিব মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ, সচিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সচিব পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সহ এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানকে এই পর্ষদে রাখা হয়েছে। আর বেসরকারী খাতে ৫ জন প্রতিনিধি যেমন- সভাপতি এফবিসিসিআই এবং শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত ৩চন সহ মোট ৫ জন বেসরকারী ব্যক্তি। মোট ৩৭ জন কমিটির সদস্য হবেন।

অন্যদিকে সচিবের নেতৃত্বে যে কমিটি সেখানে ২৯ জন সদস্য থাকবেন। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এখানে সদস্য রাখা হয়েছে। নির্বাহী পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিবিএস’র পরিচালক, বিসিক’র চেয়ারম্যান, ইপিবি’র মহাপরিচালক বিডা’র একজন সদস্য, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একজন সদস্য, সদস্য বিসিএসআইআর, মহাপরিচালক বিটাক এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সদস্যগণ রয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© Copyright 2012 Daily Deshprem Design & Developed By Mahmud IT